বৃহত্তর রংপুরের ২২ টি আসনে আওয়ামীলীগকে; ভাগ দিতে চায় না জাতীয় পার্টি

Ershad- OwnerTunes

বৃহত্তর রংপুরের ২২ টি আসনে এবার কেনাভাবেই আওয়ামীলীগকে ভাগ দিতে চায় না জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এই মিশন বাস্তবায়ন করতে এবারের এই অঞ্চল সফরে কৌশল হিসেবে কোন ধরনের রাখঢাক ছাড়াই সরকারী আওয়ামীলীগ ও সরকার বিরোধী বক্তব্য রেখেছেন। এরশাদের এমন বক্তব্যে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে প্রতিটি কর্মসূচিতে বিপুল পরিমান লোকের সমাগম ঘটিয়েছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এরশাদ নিজেও এসব জনসভায় সরাসরি সরকার বিরোধী বক্তব্য ছাড়াও নিজে ‘উজ্জীবিত’ হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ‘এবারের সরকার এরশাদ সরকার’, ‘দুঃশাসনের প্রাচীর ভাঙ্গবো-সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করবো’ বলে শ্লোগান দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকাশ্যে এরশাদের আওয়ামীলীগ ও সরকার বিরোধী বক্তব্য এই অঞ্চলের ২২ আসন নিয়ে দরাদরির এই মিশনে এরশাদ কতুটুক স্থির থাকতে পারবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। 

গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সাথে মহাজোট করে বৃহত্তর রংপুরের ২২ টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনই হাসছাড়া হয়ে যায় জাতীয় পার্টি থেকে। এরমধ্যে খোদ রংপুরে ৬ টি আসনের মধ্যে ৪ টি, নীলফামারীর ৪ টি আসনের মধ্যে ৩ টি, লালমনিরহাটের ৩ টি আসনের মধ্যে ৩টি, গাইবান্ধার ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি এবং কুড়িগ্রামের ৪ টি আসনের মধ্যে ১ টি হাতছাড়া হয়ে যায় জাতীয় পার্টির। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এই অঞ্চলের ২১ টি আসনেই বিজয়ী হয়েছিল জাতীয় পার্টি। রংপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে জাতীয পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রাথী এবং গাইবান্ধা -১ সুন্দরগঞ্জ আসনে ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে পরাজিত করার পর বৃহত্তর রংপুরের ২২ টি আসন নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে জাতীয় পার্টির তৃনমুল ও কেন্দ্রীয় নীতিনিধারকরা। এই ২২ টি আসনে আগামী নির্বাচনে কোন ছাড় দিতে চায় না জাতীয় পার্টি এমন কথা দৃঢ়তার সাথে পার্টি প্রধানকে জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় নীতি নির্ধারকরা। স্থানীয় নীতি নির্ধারকদের এই দাবি কতটা যৌক্তিক তা সরেজমিনে দেখতে সম্প্রতি বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল সফর করেন পার্টি প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গত ১৪ এপ্রিল ৪ দিনের সফরে রংপুর আসেন এরশাদ। ওইদিন তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথার বলার পাশাপাশি ১৫ এপ্রিল রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল, ১৬ এপ্রিল দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকা এবং সন্ধায় লালমনিরহাটের আদিতমারিতে জনসভায় বক্তব্য রাখেন। প্রতিটি জনসভা এবং পথসভায় ছিল আকংখার চেয়েও বেশী মানুষের উপস্থিতি। মানুষ দেখে এরশাদ আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেন। এসব কর্মসূচিতে তৃনমুল এবং দলীয় নীতিনির্ধারকরা বৃহত্তর ২২ টি আসনে কাউকে ভাগ না দেয়ার দাবি তোলেন। এরশাদ তাদের সাথে সহমত প্রকাশ করে প্রতিটি জনসভাতেই কনফিডেন্স নিয়ে ‘ ২২ টি আসন উপহার দিলে-সরকার উপহার দিবো’ উল্লেখ করে কোনধরনের রাখঢাক ছাড়াই আওয়ামীলীগ ও সরকারবিরোধী ব্যপক বক্তব্য রাখেন। যা ইতোপুর্বে তিনি কোনসময়েই রাখেন নি। এরশাদের কর্মসূচিগুলোতে অবস্থান করে দেখা গেছে এরশাদ যখন সরকার বিরোধী বক্তব্য রাখছিলেন, তখন মানুষ ‘বার বার দরকার এরশাদ সরকার’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিল। এতে উদ্বেলিত হয়ে তিনি আরও ব্যপকভাবে সরকারবিরোধী বক্তব্য রাখেন। 

সফরের প্রথম দিন ১৪ এপ্রিল রংপুর সার্কিট হাউজে এসেই এরশাদ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আওয়ামীলীগের সাথে ভাগাভাগির বিষয়টি খোলাসা করে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আপনি আমাদের অংশীদার করে নেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ৭০টি আসন দিন, আর ১০ থেকে ১২টি মন্ত্রণালয় দিন। আমরা আওয়ামী লীগেরসঙ্গে শরিক হয়ে থাকতে চাই। আর আমাদের কথা মতো আসন আর মন্ত্রণালয় না দিলে আমরা এককভাবে ৩০০ আসনেই প্রাথী। 

অন্যদিকে ১৫ এপ্রিল রংপুর পাবলিক লাইর্বেরী মাঠের জেলা জাতীয় দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময়ে আওয়ামীলীগ ও সরকার বিরোধী যেসব বক্তব্য রাখেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো- মানুষ আওয়ামীলীগের দুঃশাসনে অস্থির হয়ে গেছে। মানুষের শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা শুন্য। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তারা নির্বাচিত হতে পারবে না। একটা কথা আছে আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতা নড়ে না। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা এখন এমন হাসিনার কথা ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না। কিছুই হয় না। প্রশাসন চলে না। এখন দলীয়করন সর্বত্র। সব ব্যাংক খালি। ব্যাংকে টাকা নাই। লুটপাট করা হযেছে। পানামা পেপারসে সব নেতার নাম আছে। দেশের টাকা পাচার করা হয়েছে। তাদের কোন বিচার নাই। তারা ভয়ে আছে। নির্বাচনে যদি আওয়ামীলীগ হারে তাহলে তাদের গায়ের চামড়া থাকবে না। পিঠের চামড়া থাকবে না। দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে তিনি আরও বলেন, দেশে এখন নারী নির্যাতন একটা খেলায় পরিনত হয়েছে। যেন দেশে মহিলা হয়ে জন্ম গ্রহন করাই অপরাধ। গত দুই মাসে ২৮৭ জন নারী ধর্ষিতা হয়েছে। শিশুরা ধর্ষিত হচ্ছে। আমরা সবাই ধর্ষিত হচ্ছি। স্কুলে যাওয়ার পথে শিশু ও কিশোরীদের ধর্ষন করা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে পিতামাতারা বাল্য বিয়ে দিচ্ছেন। যে সরকার মা-বোনদের ইজ্জত করতে পারে না। তাদের ক্ষমতায় থাকার কোন প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এধরনের নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনা কখনও ঘটে নি। এরশাদ বলেন, এবার আমাদের শ্লোগান- আমরা ভাংবো দুঃশাসনের প্রাচীর। আমরা ভাঙবো দূর্নীতির প্রাচীর। আমরা ভাঙ্গবো নিপীড়নের প্রাচীর। আমরা ভাঙবো দুখের প্রাচীর। আমরা অত্যাচারের দু.শাসনের প্রাচীর।

১৬ এপ্রিল নীলফামারীর জলঢাকার ডাক বাংলো মাঠে দুপুরে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. বাদশা আলমগীরের নেতৃত্বে সহ¯্রাধিক বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায়ও এরশাদ সরকার ও আওয়ামালীগের কড়া সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, দেশে বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে জাতীয় পার্টিকে ভোট দিতে হবে। জনগনের ভোটে নির্বাচন হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পাত্তাই পাওয়া যাবে না। সব উন্নয়ন হয়েছে ঢাকায়। গ্রামে কোন উন্নয়ন নেই। আমরা এখন শুধু খুন পেলাম, গুম পেলাম, দুঃশাসন পেলাম, অত্যাচার পেলাম। রাতের বেলা মানুষ ঘুমাতে পারে না। মনে হয় যেন দেশে আওয়ামীলীগ ছাড়া কেউ থাকবে না। এটাই চায় আওয়ামীলীগ। আমাদের মনে আগুন জ্বলছে। মানুষের মনে আগুন জলছে। আমরা অত্যাচারিত মানুষকে উদ্ধার করবো।  মানুষকে মুক্ত করতে না পারলে মানুষে আগুনে অঙ্গার হয়ে যাবে। বর্তমানে চাকরীতে যে কোট আছে তা শুধু আওয়ামীলীগের জন্য। এসময় তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে দুঃশাসনের দেয়াল ভেঙ্গে চুরমার করে দাও। জনগনকে ভোট দেয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সিল মারার নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। 

অন্যদিকে ওইদিন বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারীর কুমিড়হাট এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত বিশাল জনসভায় আরও একধাপ এগিয়ে সরকার বিরোধী বক্তব্য দিয়ে বলেন, বর্তমান আওয়ামী দু:শাসনে রাতের বেলা মানুষের ঘুম হয় না। দিনের বেলা মেয়েরা ধর্ষিতা হয়। রাস্তায় আওয়ামীলীগের ছেলো ধর্ষন করে। ছবি তোলে। নেটে দেয়। পুলিশ মামলা নেয় না। সেকারনে বাবা মায়েরা মেয়েদের বাল্য বিয়ে দেয়। বাল্য বিয়ে এখন আমাদের এক নম্বর সমস্যা। মানুষ আজ কথা বলতে পারছে না। লিখতে পারে না। মানুষ গুম হয়ে যায়। তাই দেশের দুর্বিস্হ অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। এই জনসভায় তিনি ১ হাজার হিন্দুর জাতীয় পার্টিতে যোগদানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, হিন্দু ভাইয়েরা। আমার সময় কোন মন্দির ভাঙচুর হয় নি। আপনারা সুখে ছিলেন। শান্তিতে ছিলেন। আপনাদের টাকা পয়সা নাই। আপনারা নির্বাচনে দাড়াতে পারেন না।  এবার আমি আপনাদের জন্য ৩০ টি আসন রিজার্ভ করেছি। আপনারা আর আওয়ামীলীগকে ভোট দিবেন না। লাঙ্গলে ভোট দিবেন। এই জনসভায় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লালমনিরহাট ৩ আসনে ছোট ভাই কো- চেয়ার‌্যামান জিএম কাদের, ২ আসনে রোকন উদ্দিন বাবুল এবং ৩  আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব) খালেদ আক্তারের নাম ঘোষণা করেন এবং তাদের জন্য ভোট চান। 

আওয়ামীলীগ ও সরকার বিরোধী এসব বক্তব্য প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি অন্যতম নীতি নির্ধারক কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এস.এম. ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর জানান, বৃহত্তর রংপুরের তিনটি জেলায় জনসভায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতির মাধ্যমে স্যারকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি বৃহত্তর রংপুরের ২২ টি আসনে কোন ছাড় দেয়া যাবে না। জাতীয় পার্টি এখন বিকল্প শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের মানুষকে শান্তি, অগ্রগতি ও উন্নতি দিতে পারে। আগামী নির্বাচনে সেটা জনগন জাতীয় পার্টিকে ভোট দিয়ে প্রমাণ করতে চায়। এজন্য নির্বাচন হতে হবে নির্বিঘœ, নিরপেক্ষ। সিল মারা কিংবা বিনা ভোটের নির্বাচন হতে দেবো না আমরা এবার। 

আওয়ামীলীগ ও সরকার বিরোধী এসব বক্তব্য প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি অন্যতম নীতি নির্ধারক কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, মানুষ একটি দুর্বিসহ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। সেকারণে এরবারের স্যারের বক্তব্যে মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে। মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। বৃহত্তর রংপুরের ২২ টি আসন আমাদে দুর্জয় ঘাটি। এখানে আমরা কোন আপোষ করবো না। জাতীয় পার্টির নিবেদিত প্রাণ নেতাদের এসব আসনে প্রার্থী করার জন্য আমরা স্যারকে বলেছি। এই আসনগুলোতে কাউকেই ভোট ডাকাতি করে কিংবা সিল মেরে নিয়ে নির্বাচিত হতে দেয়া হবে না।  প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ভোট পাহারা দিবে এবং জনগনের ভোটে বিপুল ভোটে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচিত হবে। এক্ষেত্রে স্যারকে কোন অবস্থাতেই কারো সাথে আপোষ করা যাবে না বলে আমি মনে করি। বিষয়টি আমরা গত কয়েকদিনের এই অঞ্চল সফরে জনগনের স্বতস্ফুর্ত সাড়া দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি।

জাতীয় পার্টির ডাকসাইটেড নেতা প্রেসিডিয়াম সদস্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির নব নির্বাচিত সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা জানান, আমরা বলেছি দুই দলে একই বিষ, নৌকা আর ধানের শীষ। মানুষ আর এই দুই দলকে চায় না। সেকারনে বিকল্প হিসেবে তারা জাতীয় পার্টিকে চায়। বিশেষ করে বৃহত্তর রংপুরের ২২ টি আসনে জাতীয় পার্টি আবার পুর্বের অবস্থানে যেতে চায়। সেজন্য পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মজল্লায় জাতীয় পার্টির পক্ষে গনজোয়ার তৈরি করা হয়েছে। এই ২২ টি আসনে কোনভাবেই ছাড় না দেয়ার জন্য আমরা বলেছি স্যারকে। 

 এ ব্যপারে রাজনীতি বিশ্লেষক রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ জানান, জাতীয় পার্টি প্রধান তার বক্তব্যে সব সময় স্থির থাকতে পারেন না, নানা কারনে। এবার তিনি যেভাবে সরকার ও আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই অঞ্চলে জনসভায় বলেছেন, তাতে অনেক মানুষ তার কথায় আশ্বাস রাখতে চাইছেন। এর মাধ্যমে তিনি মুলত: আগামী নির্বাচনে বৃহত্তর রংপুরের ২২ টি আসনে আওয়ামীলীগের সাথে দরাদরি করে কতটা এগিে নিতে পারবেন সেই কৌশল করছেন। কিন্ত কৌশল প্রয়োগে তিনি কতটা স্থির থাকতে পারবেন তা বোঝা যাবে ঢাকায় ফিরে নতুন বক্তব্যের পর। 

Post a Comment

0 Comments

Our Total Visitor's